মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু, শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার, নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেট করা এবং ফিশিং চেনার উপায়-এই চার পদক্ষেপ অনুসরণ করে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় বলে জানিয়েছেন সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের ইঞ্জিনিয়ার মুশফিকুর রহমান।
শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস বিষয়ক জাতীয় কমিটির সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি। ফিশিং সম্পর্কে ইঞ্জিনিয়ার মুশফিকুর রহমান বলেন, মানুষের মনকে নিয়ন্ত্রণ করে ম্যানুপুলেট করা। এর মাধ্যমে সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সাহায্যে হয়তো টাকা কিংবা সম্পর্ক তৈরির প্রলোভনে কোনো সাইটে ক্লিক করার মাধ্যমে তাকে অনিরাপদ ওয়েবসাইটে নিয়ে যায়। ফলে ব্যক্তির তথ্য হাতিয়ে নেয় অথবা টাকা আদায় করে নিতে পারে প্রলোভন দেখিয়ে।
আরোও পড়ুন:
সরকারি নির্দেশনা পেয়ে চমকে গেলে পাকিস্তানের বিমানবালারা
বড় ঝুঁকির মুখে পড়েছে শিল্প খাত
শিশুদের নিরাপদ ইন্টারনেট নিয়ে তিনি বলেন, বাচ্চাকে ট্যাপ না দিয়ে বই দিন। বাচ্চারা নিরাপদ থাকবে সাইবার স্পেসে। প্রত্যেকটা আইএসপি থেকে প্যারেন্টিং কন্ট্রোল নিতে পারেন, তাহলে অনাকাঙ্ক্ষিত সাইটে পৌঁছাতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, অক্টোবরের প্রতি সপ্তাহে আলাদা একটি করে চারটি বিষয়ে কর্মসূচি হবে। প্রথম সপ্তাহ মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন চালু করুন, দ্বিতীয় সপ্তাহ শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন, তৃতীয় সপ্তাহ আপনার সফটওয়্যার আপডেট করুন এবং চতুর্থ সপ্তাহ ডিপিং চিনুন এবং রিপোর্ট করুন।
রবির সাইবার সিকিউটি অ্যান্ড প্রাইভেসি বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, ইন্টারনেট ব্যবহারের ভালো দিকও আছে, তেমন খারাপ দিকও আছে। সেজন্য দেখে শুনে নিরাপত্তা নিয়ে ইন্টারনেট চালাতে হবে। আইএসপিএবির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম বাশির বলেন, সাইবার সিকিউরিটির জন্যে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন নিজের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা। প্রত্যেক লিংকে ক্লিক করার আগে বুঝে শুনে ক্লিক করা উচিত। তাহলে নিরাপদ থাকা যাবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।